ডেস্ক নিউজ:
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি হাফিজুর রহমান লাল্টুর (৩৮) বিরুদ্ধে এক কিশোর হাফেজকে বলাৎকারের অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে তোলপাড় শুরু হয়েছে।

এ ঘটনায় চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় ওই ছাত্রলীগ নেতার নামে মামলা করেছেন যৌন হয়রানির শিকার হাফেজের বাবা। লাল্টু সদর উপজেলা শহরের দৌলতদিয়া মহল্লার আয়ুব আলীর ছেলে।

পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, দৌলতদিয়ার মসজিদের ইমাম সাহেবের অনুপস্থিতিতে তার ভাই কিশোর হাফেজ ইমামতির দায়িত্ব পালন করে। প্রতিদিনের মতো গত বৃহস্পতিবার মাগরিবের নামাজের পর সবাই মসজিদ থেকে চলে গেলেও লাল্টু মসজিদেই বসে থাকেন। নামাজ শেষে লাল্টুকে মসজিদ থেকে বের হওয়ার কথা বললে সে বলে ‘আমার শরীরটা একটু খারাপ লাগছে; আমাকে বাড়ি দিয়ে আয়’।

তার কথামত বাড়ি পৌঁছে দিতে গেলে ঘরে গিয়ে অসুস্থতার ভান করে হাফেজ ছেলেটিকে হাত-পা টিপে দিতে বলে। একপর্যায়ে টাকা-পয়সা দেয়ার কথা বলে বলাৎকার করার চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে নানা ভয়ভীতি দেখিয়ে পরে তাকে বলাৎকার করে। এই কথা কাউকে বললে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয় লম্পট লাল্টু। পরদিন শুক্রবার সকালে ঘটনাটি জানাজানি হলে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে স্থানীয়রা।

বিষয়টি নিশ্চিত করে চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তোজাম্মেল হক বলেন, কিশোর হাফেজকে বলাৎকারের অভিযোগে তার বাবা শুক্রবার রাতে মামলা করেছেন। অপরাধীকে গ্রেফতারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান তিনি।

স্থানীয়রা জানান, অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা এর আগেও এমন বেশ কয়েকটি ঘটনা ঘটিয়েছে। কিন্তু ক্ষমতার দাপট ও টাকা দিয়ে আগের ঘটনাগুলো থেকে রক্ষা পেয়েছে। ছাত্রলীগ নেতার এমন অপকর্মের ঘটনাটি গোটা চুয়াডাঙ্গা জেলায় টক অব দ্য টাউনে পরিণত হয়েছে।

এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মোহাইমেন হাসান জোয়ার্দ্দার অনিক ও সাধারণ সম্পাদক মো. জানিফ আহম্মেদ যৌথ এক বিবৃতিতে এ ঘটনার নিন্দা ও অভিযুক্তকে গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন।

তারা বলেছেন, কারও ব্যক্তিগত অপকর্মের দায়ভার কখনও ছাত্রলীগ বহন করবে না। এছাড়া অভিযুক্ত লাল্টু বর্তমান কমিটির সদস্য নয় বলেও দাবি তাদের।